সারা দেশ

বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডসের নাগরিকরা ঘুরে গেলেন বাবুডাইং আলোর পাঠশালা

‘এটি এমনই একটি জায়গা, যেখানে সাধারণ মানুষজনের মুখে সুন্দর হাসি লেগেই আছে। তাঁদের আছে বড় একটি হৃদয়। আমি এখানে সময় কাটিয়ে উপভোগ করেছি। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খুব ভালো। তাঁদের আতিথেয়তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আবারও এখানে ফিরে আসবো।’

রোববার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও গ্রাম ঘুরে এমনই মন্তব্য করেন নেদারল্যান্ড-বেলজিয়াম দম্পত্তি রবার্ট ও সাবিন।

সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ইকো অ্যাডভেঞ্চার দলের তত্ত¡াবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভ্রমণে আসেন বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের দুটি পর্যটক দল। প্রথমেই তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে আলোর পাঠশালা ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গ্রাম বাবুডাইং ঘুরতে আসেন। এসময় তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফ্রিদি।

পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন বেলজিয়ামের নাগরিক রিচার্ড, নেদারল্যান্ডের নাগরিক লেলে, দম্পত্তি বার্ট ও জেমি। তাঁরা সকলেই ছিলেন উৎফুল্ল মনের অধিকারী।

গ্রাম ঘুরে আলোর পাঠশালার সীমানায় পৌঁছুলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় সকলকে শাপলা ফুলের মালা দেয়া হয়। বেলা সোয়া ১১টায় অ্যাসেম্বলিতে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। জাতীয় সংগীতের পর শিক্ষার্থীরা অতিথিদের আটটি পিটি দেখায়। তা দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা। এরপর শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠদান দেখেন তাঁরা। পরে কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান পরিবেশন করে।

বেলজিয়াম নাগরিক রিচার্ড পিতাহীন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন টুডুর জীবন সংগ্রামের গল্প শুনে বলেন, এত ছোট বয়সেই সংসারে অর্থের যোগান দেয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সে এই বয়স থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করে সংসার পরিচালনায় যে ভ‚মিকা রেখেছে তা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। আমরা তার উন্নত ভবিষ্যত কামনা করি।

Related Articles

Back to top button