সারা দেশ

অমর একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি

অমর একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ শ্রদ্ধা জানাবেন সবাই। তবে এবার করোনার কারনে একটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ৫জন করে ফুল দিতে পারবেন শহীন মিনারে।

এদিকে রবিবার সকাল থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফুলের দোকান গুলোতে ছিলো ব্যাস্ততা। ফুল দোকানের কর্মীরা নিবিড় মনে তৈরী করে যাচ্ছেন একটি পুষ্পস্তবক। এবছর ফুলের দাম বেশি হওয়ায় পুস্পস্তবক তৈরীতে খরচ বেড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমিনুল ফুলঘরের মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, এবছর ফুলের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। যে গোলাপ ছিলো ৫ টা সেই গোলাপ এখন ২৫-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গাদা ফুলের দামও বেড়েছে, গাদার ২০টা চেন এর দাম আগে ছিলো ৪০০-৫০০ সেটা হয়ে গেছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। এর কারনে এবার একুশের জন্য তৈরী ফুলের ডালার দামও বাড়াতে হচ্ছে।

ফুল বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে সাধারন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন গুলো ৫০০ টাকার মধ্যে ফুলের ডালা তৈরী করে নিত, এখন সেই ৫০০টাকার ডালায় বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়। ১৫০০ টাকার গুলো এখন আড়াই হাজার তিন হাজার নিতে হবে। ক্রেতাদের সাথে বেশি দরদাম করতে পারছি না, কিন্ত ফুলের দাম বাড়তির কারনে দরদাম না করেও হচ্ছে না, তারপরও চেষ্টা করছি তাদের বাজাটের মধ্যেই একুশের ডালা তৈরী করে দিতে।

আমিনুল ফুল ঘরের কর্মী আখের আলী বলেন, ফুলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ একটু কম বাজেটের মধ্যে ফুলের ডালা তৈরী করে চাইলে, তাদের কাঁচা ফুলের সাথে কিছু প্লাস্টিক ফুল মিলিয়ে তৈরী করে দিচ্ছি আমরা।

সাদিয়া ফুল ঘরের উদ্যোক্তা আব্দুল হাকিম বলেন, তাদের নিজেদের ফুলের বাগান আছে, সেখান থেকে এ সময়ে ১০০০ ফুল প্রতিদিন পাওয়ার কথা কিন্ত এবার প্রতিদিন ফুল তুলতে পারছেন ২০০ মত। তার মতে আবহাওয়ার কারনে হয়ত ফুলের উৎপাদন কম হয়েছে। তার বাগানের মতই অন্যদের অবস্থা উল্লেখ করে এ ফুল বিত্রেতা বলছেন, ফুলের সরবরাহ কম থাকার কারনেই ফুলের দাম বেড়েছে। ফুলের দাম বেশি হওয়ায় ফুলের যে কোন কাজেই খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তিনিও বলেন ক্রেতার বাজেটের উপর নির্ভর করে, অনেক সময়ই তারা কাঁচা ফুলের পাশাপাশি প্লাস্টিকের ফুলও ব্যবহার করে থাকেন।

Related Articles

Back to top button